ভাসির্টি থেকে ফেরার পথে- "আচ্ছা সুহৃদ, লাইফে প্রেম করাটা কি খুব জরুরি?" "না তো! সবচেয়ে বড় কথা হল আমরা এমনিতে তো বেশ আছি। তাহলে কেন শুধুশুধু প্রেমবোঝা বইতে হবে।" "কিন্তু ওরা যে বলে...!" "যারা প্রয়োজন মনে করে তারা করুক। সবার তো কফিতে রুচি না ও থাকতে পারে।" "হ্যাঁ, তুই ই ঠিক।"
"আচ্ছা, তুমি প্রেম কর না কেন তাহলে?" কি সর্বনেশে কোয়েশ্চেন!
উত্তর দিচ্ছি, ধৈর্য্য ধরতে পারলে শুনুন। সত্যি বলতে কি, প্রেম জিনিসটাকেই আমার ভয় লাগে। এটা সত্যি প্রেম নিয়েই আমি সবচেয়ে বেশি লিখালিখি করি। হিজিবিজি যাই হোক, অনেকে পড়ে তো! এসবের বেশিরভাগ প্রেম সম্পর্কিত। প্রেমের অভিজ্ঞতাই যদি আমার না থাকে তাহলে এসব আসে কোথা থেকে। সহপাঠি আনিকার মতে, কিছু অভিজ্ঞতা তো লাগেই। আচ্ছা ঠিক আছে মানলাম। তবে লিখালিখিটা আসে মন থেকে। রবীন্দ্রনাথ, শরৎ, বঙ্কিমবাবু এতগুলো প্রেম করে নি। তাদের বেলায় তো প্রশ্নটা ওঠে না।
একটু আগে যেটা বলছিলাম-প্রেমে আমার ভয় কাজ করে। সেটা কি রকম? দাঁড়ান বলছি- ধরেই নিলাম, আমি কাউকে জান-প্রাণ দিয়ে ভালবাসি। কি হবে আমার, যদি কখনো সর্ম্পকটা ভুলে যায়? কিংবা সে যদি কখনো ঘুম থেকে উঠে আমাদের সর্ম্পকটা অস্বীকার করে বসে? অথবা আমারই যদি তাকে আর ভাল না লাগে তারই বা কি হবে তখন? মোটর-সাইকেলে তেল ফুরিয়ে গেলে হাতে টেনে নেয়া যায়। ভালবাসায় রিজার্ভ বলে কিছু নেই। সবটুকুন নগদ।
ধরে নিলাম, নীতিগত ভাবে আমি সৎ তবু কখনো যদি এমন হয় যে, এক সময় হঠাৎ মানুষটাকে আর ভাল লাগছে না! তার হাত ধরে আনন্দ পাচ্ছি না। একসাথে রিক্সায় ঘুরে ভাল লাগছে না। কথা বলতে ইচ্ছে করে না ; মনে হয় সব বলা হয়ে গেছে। তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে না; তাকিয়ে থাকার আর কিছু নেই। তার চেহারা আমার মুখস্ত। ইম্প্রেস করতে ইচ্ছে করে না ; সে এমনিতেই দিন রাত আমাকে নিয়ে আছে। ইম্প্রেস করার কিছু নেই। কেমন হবে তখন? কিংবা বিপরীত দিক থেকেই যদি এমন হয়? কোথায়, কার কাছে যাব আমি?
ইচ্ছে করে না, কোন অপরাধে না, কোন কারণ ছাড়াই মানুষটার প্রতি আবেগ ভোতা হয়ে গেছে। একদিন ঘুম থেকে উঠে আবিষ্কার করলাম অন্য কাউকে আমার ভাল লাগছে। কী করব তখন? 'ভাল লাগার' ব্যাপারটি তো আর প্লেনিং করে করি নি! কাউকে আর ভাল না লাগলে আমার কী করার আছে? অন্য কাউকে ভাল লাগলে আমার দোষ কেন হবে? আমার আর যাই হোক, তারই বা কি হবে? সে সেটা মানতে পারবে কখনো? আদর করে বাবু ডাকের বদলে যখন গালি আর অবহেলা সে মেনে নিবে কোন জাদুবলে? হতাশা আর দুঃখ তাকে কুরেকুরে খাবে না? কিংবা আত্মহত্যাও যে করে বসবে না তারই বা নিশ্চয়তা কি? তখন কোনদিকে যাব আমি? কিংবা আমাকে যে ভালবাসছে সে তো অভিনয়ও করতে পারে। হতে পারে সে শুধু টাইম পাসটাকেই উদ্দেশ্যে রেখেছে। সবাই-ই যে ভালোবেসে ‘ভালোবাসি’ বলে, তা নয়। সেই ‘ভালোবাসি’টা যে কেউ কেউ ভালোবেসে গ্রহণ করে! সবাই ভালোবেসেই চুমুটা খায় না, স্রেফ চুমু খেতে ভাল লাগে বলেই খায়। তবে কেন এমন কাউকেই চুমুটা খেতে হবে যে ভালোবেসেই চুমুটা গ্রহণ করছে? চুমু খাওয়াটা সুখের, মানছি। তবে কেন সেই সুখ পেতেই হবে যে সুখ অন্যকারোর অসুখ বাধিয়ে দেয়? কোন ভালোবাসায় ভালোবাসা নেই, সেটা কেউ জানবে কী করে?
অনেকের মনে হয়তো একটা প্রশ্ন থেকেই যায়। কেউ বলে, কেউ বলে না। সেটা হল- সত্যিই যদি আমি প্রেমে না থাকি তাহলে অতশত লিখি কেমনে? তাদের জন্য আমার উল্টো প্রশ্ন থাকল- "যে লোকটা বক্সিং লড়ে সে কি বউকে আদর করে না?" কেউ না করলে সেটা ভিন্ন কথা। সবচেয়ে বড় কথা হল, ভালবাসা থাকে মনে। বাইরেরটা তো কমিটমেন্ট। এ কথা বললে অনেকে আবার আমাকে থামিয়ে দেয়। ব্যাপার না।
ইচ্ছে করে না, কোন অপরাধে না, কোন কারণ ছাড়াই মানুষটার প্রতি আবেগ ভোতা হয়ে গেছে। একদিন ঘুম থেকে উঠে আবিষ্কার করলাম অন্য কাউকে আমার ভাল লাগছে। কী করব তখন? 'ভাল লাগার' ব্যাপারটি তো আর প্লেনিং করে করি নি! কাউকে আর ভাল না লাগলে আমার কী করার আছে? অন্য কাউকে ভাল লাগলে আমার দোষ কেন হবে? আমার আর যাই হোক, তারই বা কি হবে? সে সেটা মানতে পারবে কখনো? আদর করে বাবু ডাকের বদলে যখন গালি আর অবহেলা সে মেনে নিবে কোন জাদুবলে? হতাশা আর দুঃখ তাকে কুরেকুরে খাবে না? কিংবা আত্মহত্যাও যে করে বসবে না তারই বা নিশ্চয়তা কি? তখন কোনদিকে যাব আমি? কিংবা আমাকে যে ভালবাসছে সে তো অভিনয়ও করতে পারে। হতে পারে সে শুধু টাইম পাসটাকেই উদ্দেশ্যে রেখেছে। সবাই-ই যে ভালোবেসে ‘ভালোবাসি’ বলে, তা নয়। সেই ‘ভালোবাসি’টা যে কেউ কেউ ভালোবেসে গ্রহণ করে! সবাই ভালোবেসেই চুমুটা খায় না, স্রেফ চুমু খেতে ভাল লাগে বলেই খায়। তবে কেন এমন কাউকেই চুমুটা খেতে হবে যে ভালোবেসেই চুমুটা গ্রহণ করছে? চুমু খাওয়াটা সুখের, মানছি। তবে কেন সেই সুখ পেতেই হবে যে সুখ অন্যকারোর অসুখ বাধিয়ে দেয়? কোন ভালোবাসায় ভালোবাসা নেই, সেটা কেউ জানবে কী করে?
অনেকের মনে হয়তো একটা প্রশ্ন থেকেই যায়। কেউ বলে, কেউ বলে না। সেটা হল- সত্যিই যদি আমি প্রেমে না থাকি তাহলে অতশত লিখি কেমনে? তাদের জন্য আমার উল্টো প্রশ্ন থাকল- "যে লোকটা বক্সিং লড়ে সে কি বউকে আদর করে না?" কেউ না করলে সেটা ভিন্ন কথা। সবচেয়ে বড় কথা হল, ভালবাসা থাকে মনে। বাইরেরটা তো কমিটমেন্ট। এ কথা বললে অনেকে আবার আমাকে থামিয়ে দেয়। ব্যাপার না।
সিঙ্গেল মানুষগুলো কি আসলে খুব একটা একা অনুভব করে? না, তাদের সাথে সব সময় কেউ একজন থাকে। খুব সুন্দর কোন দৃশ্য দেখার পর তারা ভাবে; যেদিন মানুষটার সাথে পরিচয় হবে সেদিন তাকেও নিয়ে আসবে। সিলেটের চা বাগানের চির সবুজের মাঝে এমনি এক দিনে তাকে নিয়ে হারিয়ে যেতে কেমন অনুভূতিই না হবে! আকাশে কোন বিমান উড়ে গেলে তার কথা মনে পড়ে। কবির সুমনের 'বাশুঁরিয়া' গানটা শোনার সময় তাকে চোখের সামনে দেখা যায়। এক এক লাইনে তাকে এক এক জামায় দেখা যায়। আচ্ছা কাল্পনিক ভালবাসা বলে কী কিছু আছে ? সম্পর্কে যারা জড়ায় তারা না হয় একজন কাউকে নিজের মত করে পায়...যারা জড়ায় না... তাদের কী আসলেই কেউ থাকে না?

এমন কেন হয় !! জুনাইদ ঈভানের মতে, সিঙ্গেল লাইফের মানুষ গুলো আসলে সিঙ্গেল থাকে না। আসলেই তাই। এরা থাকে 'ডিমেন্সিয়া প্রিকক্স' নামে এক কাল্পনিক জগতে। কখনো দেখা হয় নি ; তবু দেখা হয়েছে লক্ষ লক্ষ রাতে। মাঝে মাঝে একটা মানুষকে নিয়ে আপনি ভাবেন। এই পৃথিবীটা খুব নিষ্ঠুর মনে হলে মানুষটার সাথে কথা বলা হয়। কি কথা হয় মানুষটা জানে না। কথাগুলোও জানে না মানুষটা কে!
সবশেষে যে প্রশ্নটা থেকেই যায় তা হল- "সত্যিই কি তুই কাউকে ভালবাসিস না? আর সব মানলাম।তবুও মানুষ ই তো তুই, নাকি?" আচ্ছা বলছি এটাও। একটু অপেক্ষা করুন। আগে একটা ঘটনা বলে নিই। এক বান্ধবীকে আমি 'জানু' বলে ডাকি। সে আজ প্রশ্ন করল- "সত্যি করে বলতো তুই আরো কতজনকে 'জানু' বলে সম্ভোধন করিস?" আমি তাকে বললাম- "কাউকে না। সবারই দেখি একজন না একজন আছে যাকে 'জানু ' বলে ডাকে। খুব ইর্ষা ইর্ষা লাগে। আমি ভাবি আমার এমন একজন তো আছে যাকে বললে সে রাগ করবে না, বা তাকে বলা যায়। আর সে মেয়েটি তুই।" "আচ্ছা তোর আমার কি দেখে ভাল লাগছে সেটা বল?" "তোকে দেখি ই তো না অনেকদিন। তবে প্রথম ভাললাগা বলে কথা..." যাক, সেদিকে আর না যাওয়াই ভাল। মেয়েটির নাম সেগুপ্তা। আমার মতই চশমিস। আমার আগেই চশমা নিয়েছিল। আমরা তখন ছেলে-মেয়ে মারামারি করতাম দুষ্টামি করে। জাস্ট ভাল লাগত, আনন্দ পেতাম বলে এটা করতাম। সবাই অবুঝ-নিষ্পাপ। কোনো চাওয়া-পাওয়া ছিল না এতে, অনুভবও করতাম। সদ্য সমাপ্ত প্রাইমারি লেভেলের রেশটা তখনো যায় নি তো! ক্লাশ সিক্সের সময়ের কথা। একদিন তাকে এমনই এক মুহুর্তে তাকে আমি মেরেছিলাম। ভুলে মারটা বেশি পড়ে গিয়েছিল। সে খুব কেঁদেছিল। তার হয়তো এটা মনে নেই। কিন্তু আমার মনে আছে। খুব মনে আছে। এই ঘটনার পর তার প্রতি সহানুভুতি জাগ্রত হল। নিজেকে খুব অপরাধী অপরাধী মনে হচ্ছিল। সে এর পর রাগ করে অনেকদিন কথা বলে নি আমার সাথে। কি জানি হয়তো এর থেকেই তার অস্ত্বিত্বটা আরো বেশি করে অনুভব করতে লাগলাম। কৈশোরে এই প্রথম কাউকে ভাললাগা।
যতই ভালো লাগুক, মরে গেলেও কাউকে ভালো লাগাটা জানানোর মত সাহস আর অবস্থা আমার ছিল না। বয়সের সাথে সাথে অনেক বেশি অপরিণতও ছিলাম তখন। তাই তো কখনো কিছু বলাও হয়ে ওঠে নি। সপ্তম শেণী মাত্রই শেষ করলাম। খবর পেলাম সে স্কুল ছেড়ে চলে যাচ্ছে। আমার কিছুতেই তার কিছু এসে যায় না তখন। কিন্তু আমি জানি আমার কেমন লাগছিল। আর কিছু বললাম না এখানে।
আমার আরো একজন বন্ধু ছিল। ক্লাশ ওয়ান থেকে। সে 'সুদিপ্তা।' বন্ধুত্বের জায়গা থেকে তার স্থান আমার লাইফে অনেক উপরে। অষ্টম শেণীর শেষের দিকে আমার লাইফে আরো একজনকে অনুভব করলামম। সকলে জানে সে কে? তার ব্যাপারটা অনেকটা এরকম- আমরা একটা কোচিং করতাম। সেখানে আমিই সর্বেসর্বা। পড়ালেখায় অন্যান্যদের চেয়ে অনেকদুর এগিয়ে ছিলাম। সর্বেসর্বা এরকম একটা ভাব ছিল মনে মনে। আমার রাজ্যে ভাগ বসাচ্ছিল আর একটা মেয়ে। প্রতিদ্বন্ধীর প্রতি আমার আজন্ম ভালবাসা। অন্তত আমার আর আরফাতের সর্ম্পকের দিকে তাকালে যে কেউ সহজে বুঝতে পারবে। মেয়েটির প্রতি আমার যতটা না সর্ম্পক ছিল, বন্ধুদের দ্ধারা তা বহুগুণে বর্ধিত হয়ে লাইভ টেলিকাস্ট চলতেছিল। এতে তাদের লাভই হচ্ছিল। মজাও নিচ্ছিল। ভাল ছেলে হিসেবে আমার র্যাংকিং ১ বরাবরই। সেটা ক্রমাগত নামতে থাকল। আর কিছু বলব না এই জায়গায়। আমি কোনো বন্ধুকে হারাতে চাই না। অনেক কস্টে যা ভুলে গেছি তা আর মনে করতে চাই না।
আমার আরো একজন বন্ধু ছিল। ক্লাশ ওয়ান থেকে। সে 'সুদিপ্তা।' বন্ধুত্বের জায়গা থেকে তার স্থান আমার লাইফে অনেক উপরে। অষ্টম শেণীর শেষের দিকে আমার লাইফে আরো একজনকে অনুভব করলামম। সকলে জানে সে কে? তার ব্যাপারটা অনেকটা এরকম- আমরা একটা কোচিং করতাম। সেখানে আমিই সর্বেসর্বা। পড়ালেখায় অন্যান্যদের চেয়ে অনেকদুর এগিয়ে ছিলাম। সর্বেসর্বা এরকম একটা ভাব ছিল মনে মনে। আমার রাজ্যে ভাগ বসাচ্ছিল আর একটা মেয়ে। প্রতিদ্বন্ধীর প্রতি আমার আজন্ম ভালবাসা। অন্তত আমার আর আরফাতের সর্ম্পকের দিকে তাকালে যে কেউ সহজে বুঝতে পারবে। মেয়েটির প্রতি আমার যতটা না সর্ম্পক ছিল, বন্ধুদের দ্ধারা তা বহুগুণে বর্ধিত হয়ে লাইভ টেলিকাস্ট চলতেছিল। এতে তাদের লাভই হচ্ছিল। মজাও নিচ্ছিল। ভাল ছেলে হিসেবে আমার র্যাংকিং ১ বরাবরই। সেটা ক্রমাগত নামতে থাকল। আর কিছু বলব না এই জায়গায়। আমি কোনো বন্ধুকে হারাতে চাই না। অনেক কস্টে যা ভুলে গেছি তা আর মনে করতে চাই না।
যা লেখার থাকে সবসময় তা লেখা যায় না। এটা একটা মহাঝামেলা। যাদের লেখা অনেকেই পড়ে, তাদের জন্য লেখালেখি অনেক ভেবেটেবে লেখার মতো একটা কিছু। তাই সবকিছু সবাইকে বলি না, বলা যায়ও না। এই যেমন, অনেক জ্বর, কাউকে বলি না। খুব মনখারাপ, শেয়ার করি না। পাটা মচকে গেল, ব্যথায় মরে যাচ্ছি, বলতে ইচ্ছে হয় না। বলি ততটুকুই যতটুকু বলা যায়। আমার কষ্টে কার কী এসে যায়? কষ্ট বলে বেড়ানোর জিনিস নয়, কষ্ট বয়ে বেড়ানোর জিনিস। কষ্ট ভাগাভাগি করলে সবসময়ই যে কষ্ট কমে, তা নয়; কখনো-কখনো এর দাম কমেও যায়। আমার কষ্ট আমার কাছে অনেক দামি। কে পারবে এর দাম দিতে? কার আছে এমন ঐশ্বর্য? জটিলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের একটা গান আমি প্রায়ই গুনগুন করে গাই, আমার স্বপন কিনতে পারে, এমন আমীর কই? আমার জলছবিতে রঙ মিলাবে, এমন আবীর কই?
যা হবার, তা-ই হবে। এতো ভেবে কী হয়? জীবনটা হুট করেই থমকে গেছে? থাকুক না! এই ফাঁকে একটুখানি বেঁচে দেখি তো কেমন লাগে! সবাইকে সাথে নিয়ে! তবে ভালবাসা বলতে আমার অতটুকু, এর বাইরে কিছু নেই।
হয়তো বলবে- "এর বাইরে ভালোও কি কাউকে লাগে না?" "লাগে তো। হৃদয় টানে সবাইকে। কিন্তু বাঁধনে জড়াই না। ফুল মাঁড়িয়ে মন্দিরদর্শন আমি করি না। ক্লিয়ার?"
যা হবার, তা-ই হবে। এতো ভেবে কী হয়? জীবনটা হুট করেই থমকে গেছে? থাকুক না! এই ফাঁকে একটুখানি বেঁচে দেখি তো কেমন লাগে! সবাইকে সাথে নিয়ে! তবে ভালবাসা বলতে আমার অতটুকু, এর বাইরে কিছু নেই।
হয়তো বলবে- "এর বাইরে ভালোও কি কাউকে লাগে না?" "লাগে তো। হৃদয় টানে সবাইকে। কিন্তু বাঁধনে জড়াই না। ফুল মাঁড়িয়ে মন্দিরদর্শন আমি করি না। ক্লিয়ার?"
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন