শেখ হাসিনার উচিত তার নিজের স্বার্থে দেশ থেকে বঙ্গবন্ধুর জীবনীমূলক সকল গন্থ প্রত্যাহার করে নেয়া...কারন যতবারই যতটুকু বঙ্গবন্ধুর জীবনী বা জীবনের অংশবিশেষ ঘটনা পড়ছি...শেখ হাসিনা'র প্রতি হতাশা দীর্ঘ হচ্ছে, এই লোকের মেয়ে হয়ে আপনি কেন উদার হতে পারছেনা?...আপনি কেন সেই রকম চোখে মানুষ দেখতে পারছেননা?
বঙ্গবন্ধু কোনো জীবনী গল্প যখন আমি পড়ি, অবাক হই। একটা মানুষ এতটা উদার হতে পারেন! এক সময় একটা গল্প পড়েছিলাম-
দুপুরের খাওয়াদাওয়া সেরে চিলেকোঠার ছায়ায় বসে আছেন বঙ্গবন্ধু।
লুঙ্গি-গেঞ্জি পরা। এক চেয়ারে বসে আরেক চেয়ারে পা তুলে দিয়েছেন। হাতে প্রিয় পাইপ। এরিন মোরের গন্ধে উতলা হয়েছে ছাদের হাওয়া।এ সময় একটি ছেলে দ্রুত সিঁড়ি ভেঙে ছাদে এলো। তার হাতে ক্যামেরা। সে ক্লিক ক্লিক করে বঙ্গবন্ধুর ছবি তুলতে লাগল।
বঙ্গবন্ধু গম্ভীর মুখে ছেলেটির দিকে তাকালেন। ১৯৭৩ সালের কথা। বললেন, এই, তুই কে রে?
লুঙ্গি-গেঞ্জি পরা। এক চেয়ারে বসে আরেক চেয়ারে পা তুলে দিয়েছেন। হাতে প্রিয় পাইপ। এরিন মোরের গন্ধে উতলা হয়েছে ছাদের হাওয়া।এ সময় একটি ছেলে দ্রুত সিঁড়ি ভেঙে ছাদে এলো। তার হাতে ক্যামেরা। সে ক্লিক ক্লিক করে বঙ্গবন্ধুর ছবি তুলতে লাগল।
বঙ্গবন্ধু গম্ভীর মুখে ছেলেটির দিকে তাকালেন। ১৯৭৩ সালের কথা। বললেন, এই, তুই কে রে?
আমার নাম পাভেল, পাভেল রহমান।
কী করিস?
ইন্টারমিডিয়েটে পড়ি। ছবি তোলা আমার হবি।
তুই কি জানিস তুই কার ছবি তুলছিস?
জানি। বঙ্গবন্ধুর ছবি তুলছি।
আমি যে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট এটা তুই
জানিস?
জানি।
প্রেসিডেন্টের পারমিশন ছাড়া যে তাঁর ছবি তোলা যায় না, জানিস?
পাভেল চুপ করে রইল।
কী করিস?
ইন্টারমিডিয়েটে পড়ি। ছবি তোলা আমার হবি।
তুই কি জানিস তুই কার ছবি তুলছিস?
জানি। বঙ্গবন্ধুর ছবি তুলছি।
আমি যে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট এটা তুই
জানিস?
জানি।
প্রেসিডেন্টের পারমিশন ছাড়া যে তাঁর ছবি তোলা যায় না, জানিস?
পাভেল চুপ করে রইল।
বঙ্গবন্ধু সিকিউরিটি ডাকলেন। 'এই ছেলেটাকে দাঁড় করিয়ে রাখ। আমি আসছি।'
সিকিউরিটির লোকজন পাভেলকে দাঁড় করিয়ে রাখল। বঙ্গবন্ধু নিচে নেমে গেলেন। ভয়ে পাভেলের তখন বুক শুকিয়ে গেছে।
কিছুক্ষণ পর বঙ্গবন্ধু আবার ছাদে এলেন। তাঁর পরনে পায়জামা-পাঞ্জাবি আর বিখ্যাত মুজিব কোট। হাতে যথারীতি পাইপ। ছাদের মাঝখানে দাঁড়িয়ে তিনি পাভেলকে বললেন, 'এবার আমার ছবি তোল।'
পাভেলের ভয় কেটে গেল। গভীর উৎসাহে বঙ্গবন্ধুর কয়েকটি ছবি তুলল সে। একসময় বঙ্গবন্ধু একজন সিকিউরিটির লোককে দেখিয়ে বললেন, 'ওর হাতে ক্যামেরা দিয়ে তুই আমার পাশে এসে দাঁড়া।' পাভেল বঙ্গবন্ধুর পাশে এসে দাঁড়াল। বঙ্গবন্ধু তার কাঁধে হাত রাখলেন। সিকিউরিটির লোককে বললেন, 'ওর সঙ্গে আমার ছবি তুলে দাও।'
সিকিউরিটির লোকজন পাভেলকে দাঁড় করিয়ে রাখল। বঙ্গবন্ধু নিচে নেমে গেলেন। ভয়ে পাভেলের তখন বুক শুকিয়ে গেছে।
কিছুক্ষণ পর বঙ্গবন্ধু আবার ছাদে এলেন। তাঁর পরনে পায়জামা-পাঞ্জাবি আর বিখ্যাত মুজিব কোট। হাতে যথারীতি পাইপ। ছাদের মাঝখানে দাঁড়িয়ে তিনি পাভেলকে বললেন, 'এবার আমার ছবি তোল।'
পাভেলের ভয় কেটে গেল। গভীর উৎসাহে বঙ্গবন্ধুর কয়েকটি ছবি তুলল সে। একসময় বঙ্গবন্ধু একজন সিকিউরিটির লোককে দেখিয়ে বললেন, 'ওর হাতে ক্যামেরা দিয়ে তুই আমার পাশে এসে দাঁড়া।' পাভেল বঙ্গবন্ধুর পাশে এসে দাঁড়াল। বঙ্গবন্ধু তার কাঁধে হাত রাখলেন। সিকিউরিটির লোককে বললেন, 'ওর সঙ্গে আমার ছবি তুলে দাও।'
এই হল বঙ্গবন্ধু। এতটা মহান, এত উদার। অথচ কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ এই মহান মানুষটিকে কতটা নির্মমভাবে হত্যা করল। আমি জানি না এই পাপ তারা কোথায় কিভাবে লুকিয়ে রেখে বেঁচেছিল। তবে জানি, এই দেশটাকে উদ্ধার করতে হলে আরেকজন বঙ্গবন্ধুর বড় দরকার। এই অকৃতজ্ঞ বাঙ্গালি তা পাবে কই?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন